পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) আবারও শিক্ষক লাঞ্ছনা ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা মো. সামসুল হক ওরফে রাসেলের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠেছে। অভিযুক্ত কর্মকর্তা রাসেলের বহিষ্কারের দাবিতে প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করেছে শিক্ষার্থীরা, জরুরি সভায় বসেছে শিক্ষক সমিতি।
জানা যায়, গত শনিবার রাতে পবিপ্রবির বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের কৃষিকুঞ্জের ডাইনিং কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
শিক্ষককে মারধর ও লাঞ্ছিত করার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী সহকারী অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, অভিযুক্ত রাসেল গত শনিবার ডাইনিংয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং উপস্থিত অন্য শিক্ষকদের সামনেই আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।
পরে আমাকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে রাসেল বলেন, তোকে যেখানে পাব সেখানেই মারব। তিনি আমাকে প্রাণনাশের হুমকিও দেন এবং বলেন, তোর পেছনে কে আছে দেখে নেব, তুই যা, দেখি তোর মাইর কে ঠেকায়।
ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত সামসুল হক ওরফে রাসেল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে সমপ্রতি নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক শেখ তানজিলা দোলার সঙ্গে মো. নজরুল ইসলামের বিভাগীয় বিষয়ে মতানৈক্য হয়। দোলা আমার আত্মীয়। তাই আমি দোলাকে কোনো ঝামেলা না করতে নজরুলকে অনুরোধ করি। পরে এই বিষয়ে তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। তবে অভিযুক্ত রাসেল মারামারির বিষয়টি অস্বীকার করেন।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক জেহাদ পারভেজ বলেন, ঘটনার পর ভুক্তভোগী শিক্ষক আমাকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানিয়েছেন। শিক্ষক সমিতি রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) একটি সাধারণ সভা আহ্বান করেছে। সেখানে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও অভিযুক্ত রাসেল সহযোগী অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন মণ্ডলকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন, যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এছাড়াও মাসে ৪৫ দিনের বেতন নেয়া, নিয়মিতভাবে অফিস না করাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
টিএইচ